মাঠে খেলায় যতটা না আলোচনায় থাকেন তার চেয়ে মাঠের বাইরের কার্যকলাপেই বেশি আলোচনায় থাকেন আর্জেন্টাইন তারকা মাউরো ইকার্দি। তাকে নিয়ে তার বন্ধুরা মনে হয় সবসময় একটু ভয়েই থাকেন। কারণ, বন্ধুর বউ ভাগানোতে যে তিনি পটু। বন্ধুর বউ ভাগালেও এবার তার সংসার নিয়ে চলছে টানাটানি।
অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়েই বিয়ে করেছিলেন ইকার্দি। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৮ সালে। সে বছর ইতালির ক্লাব সাম্পদোরিয়ায় খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে পেয়ে যান স্বদেশী সতীর্থ ও বন্ধু ম্যাক্সি লোপেজকে। আর লোপেজের স্ত্রী ছিলেন ওয়ান্ডা নারা। বন্ধুর স্ত্রী তিন সন্তানের জননীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভাগিয়ে নিজের করে নেন ইকার্দি।
বন্ধুর এমন কুকীর্তি জানার পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন লোপেজ। তারপর ২০১৪ সালের মে মাসে বিয়ে করেন ইকার্দি ও নারা। তবে ভাগিয়ে বিয়ে করার অভ্যাস নাকি এখনও ত্যাগ করতে পারেননি ইকার্দি— ইতালিয়ান গণমাধ্যমের অবশ্য এমনটাই জানিয়েছে।
আবারও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানোর কারণে চটেছেন ইকার্দির স্ত্রী ওয়ান্ডা নারা। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক স্টোরিতে লিখেছেন, ‘একটা বাজে মেয়ের জন্য আরেকটা পরিবার নষ্ট করলি তুই!’
এইটা লিখেই ক্ষান্ত হননি নারা। ইনস্টাগ্রামেও আনফলো করেছেন ইকার্দিকে। তাছাড়া দুইজনের একান্ত যত ছবি ছিল ইনস্টাগ্রামে তার সবগুলোই সরিয়ে ফেলেছেন নারা।
লোপেজের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়ায় সে সময় ব্যাপক চটেছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। এমন ঘটনায় তিনি বলেছিলেন,
“যে বন্ধুর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়, তাকে কখনো জাতীয় দলে জায়গা দেওয়া ঠিক না। আজীবনের জন্য তাকে নিষিদ্ধ করা হোক।”